লাইভ প্রতিবেদক: ভালো বন্ধু পাওয়ার প্রথম শর্ত হলো বন্ধুত্বের সম্পর্কের মাঝে কোন ধরনের স্বার্থ কিংবা প্রাপ্তির চিন্তা মাথায় না রাখা। মনে রাখবেন স্বার্থের প্রয়োজনে করা বন্ধুত্ব আপনাকে একটা সময়ে লাভবান করলেও চূড়ান্ত বিচারে আপনাকে করে তুলতে পারে নিঃসঙ্গ। কারো সঙ্গে আপনার বন্ধুত্ব কতোটা জোরদার, তার ওপর নির্ভর করছে তার সঙ্গে সম্পর্ক কতোটা এগিয়ে নিয়ে যাবেন। তাই বন্ধুদের সঙ্গে সম্পর্ক বিশ্লেষণ করুন এবং নির্ণয় করুন আপনার সত্যিকার বন্ধু রয়েছেন কয়জন?
একসঙ্গে থাকলে যোগাযোগে সমস্যা হয় কি?
অনেক মানুষ আছে, যাদের সঙ্গে আপনার সহজেই মানিয়ে যায়। তাদের সঙ্গে কথাবার্তা বলা স্বাভাবিকভাবেই সহজ হয় আপনার জন্য। স্বতস্ফূর্ত বন্ধুত্বে এ বিষয়টি থাকার কথা। ব্যক্তিত্বের পার্থক্য হলেও যোগাযোগে সমস্যা থাকবে না। আর যদি যোগাযোগ স্বাভাবিক না হয়, তাহলে বুঝতে হবে উভয়ের সম্পর্কের মাঝে সমস্যা রয়েছে। অনেক সময় এক পক্ষ অন্য পক্ষকে অভিভূত করার জন্য অতিরিক্ত চেষ্টা করলে বা নিজেকে জাহির করতে চাইলে এ সমস্যা হতে পারে।
অনেক মানুষ আছে, যাদের সঙ্গে আপনার সহজেই মানিয়ে যায়। তাদের সঙ্গে কথাবার্তা বলা স্বাভাবিকভাবেই সহজ হয় আপনার জন্য। স্বতস্ফূর্ত বন্ধুত্বে এ বিষয়টি থাকার কথা। ব্যক্তিত্বের পার্থক্য হলেও যোগাযোগে সমস্যা থাকবে না। আর যদি যোগাযোগ স্বাভাবিক না হয়, তাহলে বুঝতে হবে উভয়ের সম্পর্কের মাঝে সমস্যা রয়েছে। অনেক সময় এক পক্ষ অন্য পক্ষকে অভিভূত করার জন্য অতিরিক্ত চেষ্টা করলে বা নিজেকে জাহির করতে চাইলে এ সমস্যা হতে পারে।
আমি কী তাকে বিশ্বাস করতে পারি?
যে কোনো সম্পর্কের মূল ভিত্তি হতে পারে ‘বিশ্বাস’। আপনি এ বিষয়টি সহজেই নির্ণয় করতে পারবেন যে, কখন আপনার বিশ্বাস আছে এবং কখন নেই। সে কি তার গোপন তথ্যগুলো তার ভেতরেই রাখে, নাকি আপনার সঙ্গে শেয়ার করে? আপনি কি আপনার প্রয়োজনের মুহূর্তে তার ওপর নির্ভর করতে পারেন? যদি তাই হয় তাহলে আপনার বন্ধুকে আরও কাছে নিয়ে আসুন। আর যদি না হয়, তাহলে তার সঙ্গে বন্ধুত্ব বিষয়ে নতুন করে চিন্তা করুন।
যে কোনো সম্পর্কের মূল ভিত্তি হতে পারে ‘বিশ্বাস’। আপনি এ বিষয়টি সহজেই নির্ণয় করতে পারবেন যে, কখন আপনার বিশ্বাস আছে এবং কখন নেই। সে কি তার গোপন তথ্যগুলো তার ভেতরেই রাখে, নাকি আপনার সঙ্গে শেয়ার করে? আপনি কি আপনার প্রয়োজনের মুহূর্তে তার ওপর নির্ভর করতে পারেন? যদি তাই হয় তাহলে আপনার বন্ধুকে আরও কাছে নিয়ে আসুন। আর যদি না হয়, তাহলে তার সঙ্গে বন্ধুত্ব বিষয়ে নতুন করে চিন্তা করুন।
আমার সঙ্গে বন্ধুত্বের জন্য আমার মতোই সে কি সময় দেয়?
বন্ধুত্বের বিশ্লেষণে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন হতে পারে উভয়ের পেছনে সময় ব্যয় ব্যয় করার অনুপাত। এতে এক পক্ষ অন্য পক্ষের তুলনায় বেশি সময় ব্যয় করলে সম্পর্কে ভারসাম্যহীনতা তৈরি হতে পারে। বন্ধুর পেছনে প্রতিদিন সময় ব্যয় করতে হবে, এমন কোনো প্রয়োজনীয়তা নেই। তবে কিছুটা অন্তত সময় বন্ধুর পেছনে ব্যয় করার প্রয়োজন আছে। প্রতিবার যদি আপনিই বন্ধুর পেছনে সবচেয়ে বেশি সময় ব্যয় করেন তাহলে বিষয়টি নিয়ে আরেকবার ভেবে দেখতে হবে।
বন্ধুত্বের বিশ্লেষণে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন হতে পারে উভয়ের পেছনে সময় ব্যয় ব্যয় করার অনুপাত। এতে এক পক্ষ অন্য পক্ষের তুলনায় বেশি সময় ব্যয় করলে সম্পর্কে ভারসাম্যহীনতা তৈরি হতে পারে। বন্ধুর পেছনে প্রতিদিন সময় ব্যয় করতে হবে, এমন কোনো প্রয়োজনীয়তা নেই। তবে কিছুটা অন্তত সময় বন্ধুর পেছনে ব্যয় করার প্রয়োজন আছে। প্রতিবার যদি আপনিই বন্ধুর পেছনে সবচেয়ে বেশি সময় ব্যয় করেন তাহলে বিষয়টি নিয়ে আরেকবার ভেবে দেখতে হবে।
একে অন্যকে উৎসাহিত করা হয় কি?
একসঙ্গে থাকলে আপনারা কি একে অন্যকে উৎসাহিত করেন? সব সময়ের জন্য এ বিষয়টি নাও হতে পারে। বিশেষ করে যখন অন্য কোনো বিষয় নিয়ে ব্যস্ত থাকেন, তখন তা অবান্তর। কিন্তু গড়পড়তা হিসেবেও যদি আপনার বন্ধু আপনাকে নানা কাজে উৎসাহিত করে তাহলে তাকে আরও কাছে নিয়ে আসুন। আর যদি তা না হয়, তাহলে নতুন করে ভেবে নিন।
একসঙ্গে থাকলে আপনারা কি একে অন্যকে উৎসাহিত করেন? সব সময়ের জন্য এ বিষয়টি নাও হতে পারে। বিশেষ করে যখন অন্য কোনো বিষয় নিয়ে ব্যস্ত থাকেন, তখন তা অবান্তর। কিন্তু গড়পড়তা হিসেবেও যদি আপনার বন্ধু আপনাকে নানা কাজে উৎসাহিত করে তাহলে তাকে আরও কাছে নিয়ে আসুন। আর যদি তা না হয়, তাহলে নতুন করে ভেবে নিন।
আমার জীবনে সে কি গুরুত্বপূর্ণ?
বন্ধুত্ব বিশ্লেষণে শেষ এবং গুরুত্বপূর্ণ একটি প্রশ্ন এটি। আপনার বন্ধু কি সত্যিই আপনার জীবনের জন্য গুরুত্বপূর্ণ? আপনার জীবন থেকে সে যদি হারিয়ে যায়, তাহলে কী আপনার মাঝে একট শূন্যতাবোধ আসবে? আপনার জীবন কি তাকে ছাড়া অনেকটাই খালি বলে মনে হয়? যদি তাই হয়, তাহলে আপনার বন্ধুত্ব ঠিক আছে। আর যদি তাকে আপনার জীবনের জন্য তেমন গুরুত্বপূর্ণ কোনো বিষয় বলে মনে না হয়, তাহলে তার সঙ্গে সম্পর্ক রাখা-না রাখার কোনো পার্থক্য থাকে না।
বন্ধুত্ব বিশ্লেষণে শেষ এবং গুরুত্বপূর্ণ একটি প্রশ্ন এটি। আপনার বন্ধু কি সত্যিই আপনার জীবনের জন্য গুরুত্বপূর্ণ? আপনার জীবন থেকে সে যদি হারিয়ে যায়, তাহলে কী আপনার মাঝে একট শূন্যতাবোধ আসবে? আপনার জীবন কি তাকে ছাড়া অনেকটাই খালি বলে মনে হয়? যদি তাই হয়, তাহলে আপনার বন্ধুত্ব ঠিক আছে। আর যদি তাকে আপনার জীবনের জন্য তেমন গুরুত্বপূর্ণ কোনো বিষয় বলে মনে না হয়, তাহলে তার সঙ্গে সম্পর্ক রাখা-না রাখার কোনো পার্থক্য থাকে না।
সে কি আপনার কথা শোনে?
সামাজিক জীব হিসেবে আমরা একে অন্যের কথা শুনতে অভ্যস্ত। আর এর ব্যতিক্রম নয় বন্ধুত্বও। একে অন্যকে বোঝার জন্য কথা বলার ও শোনার প্রয়োজন আছে। আপনি এবং আপনার বন্ধু যদি একে অন্যের কথা না শোনেন, তাহলে বুঝতে হবে সমস্যা রয়েছে আপনাদের বন্ধুত্বে।
সামাজিক জীব হিসেবে আমরা একে অন্যের কথা শুনতে অভ্যস্ত। আর এর ব্যতিক্রম নয় বন্ধুত্বও। একে অন্যকে বোঝার জন্য কথা বলার ও শোনার প্রয়োজন আছে। আপনি এবং আপনার বন্ধু যদি একে অন্যের কথা না শোনেন, তাহলে বুঝতে হবে সমস্যা রয়েছে আপনাদের বন্ধুত্বে।
একসঙ্গে সময় কাটানোয় আপনার উদ্যম বাড়ে নাকি কমে?
প্রকৃত বন্ধুর সঙ্গে সময় কাটানোর পর আপনার উদ্যম বেড়ে যাবে। একসঙ্গে ব্যয়কৃত সময়টিকে আপনার খুব ভালোভাবে কেটেছে বলেই মনে হবে। তবে আপনার বন্ধুর সঙ্গে সময় কাটানোর পর যদি আপনার ক্লান্তিবোধ হয়, মানসিকভাবে বিরক্তিবোধ হয়, তাহলে সত্যিই চিন্তার বিষয়। এমনটা হলে বন্ধুত্ব বিষয়ে নতুন করে ভেবে দেখুন।
প্রকৃত বন্ধুর সঙ্গে সময় কাটানোর পর আপনার উদ্যম বেড়ে যাবে। একসঙ্গে ব্যয়কৃত সময়টিকে আপনার খুব ভালোভাবে কেটেছে বলেই মনে হবে। তবে আপনার বন্ধুর সঙ্গে সময় কাটানোর পর যদি আপনার ক্লান্তিবোধ হয়, মানসিকভাবে বিরক্তিবোধ হয়, তাহলে সত্যিই চিন্তার বিষয়। এমনটা হলে বন্ধুত্ব বিষয়ে নতুন করে ভেবে দেখুন।