স্কুলের বকেয়া বেতন না দেয়ায় ৮ম শ্রেণির এক ছাত্রীকে মাঠে দাঁড় করিয়ে শাস্তি দিয়েছে শিক্ষক।
এ লজ্জা-অপমানে নিজ বাড়িতে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে ওই ছাত্রী।
সোমবার দুপুর ২টায় চাঁদপুর সদরের বাগাদী গ্রামের শেখ বাড়িতে আত্মহত্যার ঘটনাটি ঘটেছে।
নিহত ছাত্রী সাথী আক্তার (১৩) দেলোয়ার হোসেন শেখের মেয়ে। সে বাগাদী গণি উচ্চ বিদ্যালয়ের ৮ম শ্রেণিতে পড়ত।
ছাত্রীর বাবা জানায়, রোববার দুপুরে স্কুলের বেতনসহ অন্যান্য পাওনা পরিশোধ না করায় স্কুল কর্তৃপক্ষ তাকে মাঠে রৌদ্রের মাঝে দাঁড় করিয়ে রাখে।
তিনি আরো জানান, সোমবার সকালবেলা সে তার মেয়েকে স্কুলের বকেয়া পাওনা পুরো টাকা দিতে পারেননি। স্কুলে গেলে আবারও অপমান হতে হবে এই লজ্জায় সে দুপুর ১টায় নিজ ঘরের আড়ার সাথে ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করে।
এ খবর শোনার পর এলাকাবাসী দুপুর ২টায় স্কুলের গেইট, দরজা, জানালা ভাংচুর করে। এসময় স্কুল বন্ধ করে স্কুলের শিক্ষক ও কর্মচারীরা বাড়িতে চলে যান।
এ ব্যাপারে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আলাউদ্দিন মজুমদার জানান, বেতন ভাতাদির জন্য উক্ত ছাত্রীকে কোনো চাপ প্রয়োগ বা শাস্তি দেয়া হয়নি। কি কারণে আত্মহত্যা করেছে তা তিনি জানেন না।
এলাকার ইউপি চেয়ারম্যান বেলায়েত হোসেন বিল্লাল জানান, স্কুল কর্তৃপক্ষের শাস্তির ভয়েই ছাত্রীটি আত্মহত্যা করেছে বলে তিনি শুনেছেন। তবে প্রকৃত বিষয়টির ব্যাপারে খোঁজ খবর নিচ্ছেন।